সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি গ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ওই এলাকায় পরিচালিত অভিযানে তাদের ছয়জন সৈন্য আহত হয়েছে।

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০ জনে পৌঁছেছে, তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।

খবরে আরও বলা হয়, বাইত জিন গ্রামের বহু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, লেবাননের ইসলামপন্থি সংগঠন জামা’আ ইসলামিয়ার সন্দেহভাজন সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযানে তাদের ছয়জন সেনা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সন্দেহভাজনরা সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বাইত জিন এলাকায় সক্রিয় ছিল এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করছিল।

স্থানীয় কর্মকর্তা আবদুল রহমান আল-হামরাউই এএফপিকে বলেন, দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে হারমোন পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত বাইত জিন গ্রামে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। 

তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গ্রামে প্রবেশ করে তিন যুবককে আটক করতে গেলে গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপর ইসরাইলি বাহিনী কামান ও ড্রোন দিয়ে গোলাবর্ষণ করে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসলামপন্থি নেতৃত্ব দামেস্কে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সিরিয়ায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

এ ছাড়া জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনে ইসরায়েল সেনা মোতায়েন করেছে, যা ১৯৭৪ সাল থেকে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি ও সিরীয় বাহিনীকে আলাদা করে রেখেছে।