নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী সহিংসতার কেন্দ্রস্থলে দেশটির সেনাবাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ ৬০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এই অঞ্চলে জঙ্গিদের মাঝে সহিংসতা চলছে। খবর এএফপির।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবারের (৩০ মে) প্রথম দিকে সেনারা বোকো হারাম এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স শিবিরে দুটি পৃথক হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন জঙ্গিকে হত্যা করেছে।

বোর্নো রাজ্যের গোজা শহরের বাইরে বিটা গ্রামে ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে সেনারা তাদের শিবিরে অভিযান চালালে কয়েক ডজন বোকো হারাম জঙ্গি নিহত হয়। বিটা সামরিক অভিযান সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তীব্র যুদ্ধের ফলে কমপক্ষে ৬০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।’

দুটি গোয়েন্দা সূত্র শুক্রবার নাইজার সীমান্তের কাছে আবাদাম জেলার বিটা এবং কারেটো গ্রামে বোকো হারাম শিবিরে বিমান বোমা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ‘বিটা অভিযানে ৬০ জন নিহত হয়েছে, কারেটো হামলার বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে এখনও নেই’, তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনী একটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার সেনারা চাদ হ্রদের তীরে অবস্থিত কুকাওয়া শহরে বোকো হারামের একটি শক্ত ঘাঁটিতে আক্রমণ করে, যেখানে একজন উচ্চ-প্রোফাইল কমান্ডার ও তার লেফটেন্যান্ট নিহত হয়।

কুকাওয়া জেলার বোকো হারামের কমান্ডার আমির আবু ফাতিমা সৈন্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘মারাত্মক আহত’ হন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। ‘তার বেশ কয়েকজন সহকারী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ কয়েকজন সন্ত্রাসীও সংঘর্ষে নিহত হয়।’

আবু ফাতিমা নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন, যাকে হত্যার জন্য ১০০ মিলিয়ন নাইরা (৬২ হাজার ৫০০ ডলার) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই হামলাগুলো নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য মনোবল বৃদ্ধির জন্য সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর বোর্নোর শক্ত ঘাঁটিতে জিহাদি গোষ্ঠীর হামলায় কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হয়েছে।

বোকো হারাম এবং আইএসডাব্লিউএপি ক্রমবর্ধমান হারে ঘাঁটি দখল করেছে, যেখানে সৈন্যদের হত্যা করেছে, ঘাঁটি পুড়িয়ে দিয়েছে।

এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুসারে, জঙ্গিরা দুই মাসে এক ডজনেরও বেশি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।