ইলিনয়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গভর্নরের ক্ষোভ
ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প টেক্সাস থেকে অতিরিক্ত ৪০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ইলিনয়, ওরেগনসহ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মোতায়েনের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সময় রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে প্রিটজকার বলেন, “আমি গভর্নর অ্যাবোটকে আহ্বান জানাই যেন তিনি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করেন এবং সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। কোনো প্রেসিডেন্ট কোনো অঙ্গরাজ্যের জ্ঞাতসারে, সম্মতিতে বা সহযোগিতা ছাড়া সেখানে সেনা পাঠাতে পারেন না।”
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জবাবে জানান, তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে “সম্পূর্ণ অনুমোদন” দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আপনি হয় ফেডারেল কর্মীদের সুরক্ষায় পুরোপুরি সহায়তা দিন, নয়তো টেক্সাস গার্ডকে কাজ করতে দিন।”
অ্যাবোট আরও দাবি করেন, টেক্সাস ন্যাশনাল গার্ড “গর্বের সঙ্গে দেশ রক্ষা করে।”
এমন সময়ে শিকাগোতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফেডারেল ইমিগ্রেশন এজেন্টদের হাতে ব্যাপক আটক ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে, যা বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
একটি ঘটনায় ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার থেকে নেমে এজেন্টরা পাঁচতলা ভবনে অভিযান চালায়। এতে শিশু ও মার্কিন নাগরিকসহ অনেককে জিপ-টাই দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
মার্কিন নাগরিক রডরিক জনসন জানান, এজেন্টরা তার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং তাকে বেঁধে ফেলে।
তিনি বলেন, “আমি ওয়ারেন্ট চাই এবং আইনজীবী চাই বলে জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কিছুই দেখায়নি।”
ওরেগনের আদালত অঙ্গরাজ্য সরকারের আবেদনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যাতে টেক্সাসসহ অন্য অঙ্গরাজ্য থেকে সেনা পাঠানো আটকে যায়।
ওরেগন ও ক্যালিফোর্নিয়া যৌথভাবে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে, “আমরা কোনোভাবেই প্রেসিডেন্টের মার্কিন শহরগুলোতে সেনা ব্যবহারের স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টায় অংশ নেব না।”
গত সপ্তাহে সামরিক জেনারেলদের এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে আমরা ভেতরের শত্রুর মোকাবিলায় সেনা ব্যবহার করব।”

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক