বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং পাগলীর আগা এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইটভাটা শ্রমিক ও স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় চকরিয়া-মানিকপুর সড়কের পাহাড়তলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় বিজিবি ও পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও ট্রাকসহ মোট ছয়টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পরিচালিত স্পেশাল অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলাম। এ সময় আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হাফিজ, লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ, লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর অংশ নেয়।

আভিযানিক দল সূত্রে জানা যায়, ফাইতংয়ের অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে গাড়িবহর কাকারা পাহাড়তলী বাদশার টেক এলাকায় পৌঁছালে কিছু দুর্বৃত্ত যৌথবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় ইটভাটার মালিক, শ্রমিক ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও হামলায় জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিজিবি ও পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও ট্রাকসহ মোট ছয়টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত চার দিন ইটভাটায় অভিযানেকালে বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন।

লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ বলেন, ‘ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে অনেকে আহত হয়েছে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাকারী টিমের ওপর দুর্বত্তরা হামলা করেছে এবং আটকদের চকরিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।