ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন, শিক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে শনিবার (১৮ অক্টোবর) আমেরিকা জুড়ে ‘নো কিংস’ নামে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, তারা সারা দেশে দুই হাজার ৬০০টিরও বেশি সমাবেশের আয়োজন করেছেন। ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর এটি তার বিরুদ্ধে তৃতীয় বৃহত্তম গণ সমাবেশ। খবর আল-জাজিরার।
চলমান সরকারি অচলাবস্থার পটভূমিতে এই বিক্ষোভটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ বিক্ষোভকারীরা সতর্ক করছেন যে ট্রাম্পের আগ্রাসী শাসন ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্বেচ্ছাচারিতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এই বিক্ষোভ শুধু আমেরিকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে এবং মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাতেও শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হন। ট্রাম্প নিজেকে রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন— এই ধারণার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছেন।
যদিও ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তারা বলে যে তারা আমাকে রাজা বলে উল্লেখ করছে। আমি রাজা নই।’ বিক্ষোভকারীরা মূলত ট্রাম্পের সামরিক ধাঁচের অভিবাসন অভিযান, বাকস্বাধীনতার ওপর প্রশাসনের কঠোরতা ও সামগ্রিক নীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ারে হাজার হাজার মানুষ ‘ট্রাম্পকে এখনই যেতে হবে’ স্লোগান দেন।
আয়োজকরা বলছেন, এবারের বিরোধী আন্দোলন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ। সিনেট নেতা চাক শুমার ও বার্নি স্যান্ডার্সের মতো শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতারা এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রধান আয়োজকদের একজন এজরা লেভিন বলেছেন, ‘একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার জন্য দেশপ্রেমিক জনশক্তির চেয়ে বড় হুমকি আর কিছু নেই।’ অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ‘কমিউনিস্ট’ এবং ‘মার্কসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে মূলধারার রাজনীতির বাইরে বলে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।
হাউস স্পিকার মাইক জনসন এটিকে ‘ঘৃণা আমেরিকা সমাবেশ’ বলে অভিহিত করেছেন। এর জবাবে বার্নি স্যান্ডার্স ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটি আমেরিকার প্রতি প্রেমের সমাবেশ।’
বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, নিবন্ধিত অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এই সমাবেশটি আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ সমাবেশ হতে পারে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক