প্রথমবার দ. আফ্রিকাকে সিরিজে হারাল পাকিস্তান
প্রথম দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাটহাতে আলো ছড়ালেন কুইন্টন ডি কক। তবে আবরার আহমেদের স্পিনঘূর্ণিতে আলোর নিচে পড়ে গেলো সেটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ব্যাটাররা সেই ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যাওয়া-আসার মিছিল ধরলেন। এরপর ব্যাটহাতে আলো ছড়ালেন সাইম আইয়ুব। এতে প্রথমবার ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো পাকিস্তান।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) ফয়সালাবাদে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.৫ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানেই থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ২৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৭ উইকেটের এই জয় পায় স্বাগতিকরা।
এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এই সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব শুরু করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। অভিষেক সিরিজই জয় দিয়ে রাঙালেন তিনি।
স্বল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই হোচট খায় পাকিস্তান। আন্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ফখর জামান। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন বাবর আজম আর আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব। দুজন মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। এরপর ৩২ বলে ২৭ রান করে বাবর রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে সেই জুটি।
চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে আরেকটি ৬৫ রানের জুটি গড়েন সাইম। পাকিস্তান তখন জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে, এমন সময় ফেরেন সাইম। ৭০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে নিয়ে বাকি পথটা অনায়াসে পাড়ি দেন রিজওয়ান। ৪৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সালমান অপরাজিত থাকেন ২ বলে ৫ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন ড্রি প্রিটোরিয়াস আর কুইন্টন ডি কক। ৭২ রানের জুটি উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। ৪৫ বলে ৩৯ রান করে প্রিটোরিয়াস ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন। একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ডি কক ফেরেন ৭০ বলে ৫৩ রান করে।
এই দুই ওপেনারের বাইরে আর দুজন কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। ম্যাথিউ ব্রিটস্কি ও নাকাবা পিটার। দুজনই সমান ১৬ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে চার উইকেট তুলে নেন আবরার আহমেদ। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, সালমান আলী আর শাহিন আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৭.৫ ওভারে ১৪৩ (প্রিটোরিয়াস ৩৯, ডি কক ৫৩, ডি জর্জি ২, ব্রিটস্কি ১৬, হারমান ১, ফেরেইরা ৭, বশ ০, ফোরটান ৩, পিটার ১৬, বার্গার ৩*, এনগিডি ০; আফ্রিদি ৪.৫-০-১৮-২, সাইম ৭-০-৩০-০, রউফ ৩-০-১৭-২, সালমান ৪-০-১৮-২, আবরার ১০-১-২৭-৪, মোহাম্মদ নাওয়াজ ৯-০-৩১-২)
পাকিস্তান : ২৫.১ ওভারে ১৪৪/৩ (ফাখার ০, সাইম ৭৭, বাবর ২৭, রিজওয়ান ৩২*, সালমান ৫*; বার্গার ৫-১-২৯-১, এনগিডি ৩-১-১৭-০, বশ ৩-০-২৩-০, ফোরটান ৬.১-০-৩৪-১, ফেরেইরা ৪-০-২১-০, পিটার ৪-০-১৮-০)
ফল : পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আবরার আহমেদ
ম্যান অব দ্য সিরিজ : কুইন্টন ডি কক

স্পোর্টস ডেস্ক