গলে দ্বিতীয় দিনের বেশিরভাগ সময় দাপট দেখাল বাংলাদেশই। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দৃঢ়ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে কাটিয়ে দেন দিনের প্রায় পুরোটা সময়। লঙ্কান বোলারদের আক্ষেপ বাড়িয়ে ৫০০ পার করা রানের আশা দেখাচ্ছিলেন তারা। তবে শেষ বিকেলে মুশি ফিরলেই আবারও বের হয়ে আসে বাংলাদেশের চিরচেনা রূপ। ব্যর্থতার সাগরে ডুবে মরেন বাকিরা। এতে ৫০০ রানের লক্ষ্য এখন বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন।

গলে আজ বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে অপরাজিত আছেন দুই টেলএন্ডার ব্যাটার হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা। রানের খাতা খুলতে পারেননি কেউই।

গলে দ্বিতীয় দিনেও শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দেড়শর পথে ছুটছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু কাছে গিয়ে আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি। আসিথা ফার্নান্দোর বলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ কাপ্তান। এতে ভাঙে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ২৬৪ রানের অনবদ্য জুটি। ফেরার আগে ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেন শান্ত। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল এক ছক্কা আর ১৫ চারে।

শান্ত বিদায় নিলেও লিটন দাসকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দেড়শ পার করে ছুটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু শেষ বিকেলে আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন মুশফিকও। আসিথার বলে আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন মুশি। তবে আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েই ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে ৩৫০ বলে খেলেন ১৬৩ রানের অনিন্দ্য সুন্দর ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চারে।  মুশফিক ফিরলে ভাঙে ১৪৯ রানের জুটি।

মুশফিকের বিদায়ের পরে যেনো ‘আত্মহত্যাই’ করলেন লিটন দাস। সেঞ্চুরির আশা দেখানো ইনিংসের পরিসমাপ্তি ডেকে আনেন তিনি রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। ক্যাচ দেন পেছনে থাকা উইকেট রক্ষককে। ফেরার আগে ১২৩ বলে ৯০ রান করেন তিনি। লিটনের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার আর এক ছক্কায়।

এরপর আর দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। জাকের আলি ফিরেছেন ১৬ বলে মোটে ৮ রান করে। নাঈম হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১১ রান। তাইজুল ফিরেছেন আরও দ্রুত, ৭ বলে ৬ রান করে।

এরপরে বাকি ছিল মোটে কয়েকটি বল। সেগুলো পার করে দেন হাসান আর নাহিদ। তৃতীয় দিনের শুরুতে লঙ্কানদের আরেকটু আক্ষেপ বাড়ানোর সময় পাবেন তারা।

এর আগে ৩ উইকেট ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫১ ওভার ৮৮৪/৯ (সাদমান ১৪, এনামুল ০, মুমিনুল ২৩, শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০, জাকের ৮, নাঈম ১১, তাইজুল ৬, হাসান ০*, নাহিদ ০*;  আসিথা ২৮-৫-৮০-৩, মিলান রত্নায়াকে ২২.৪-৬-৩৮-৩, থারিন্দু রত্নায়াকে ৪৯.২-৩-১৯৬-৩, জায়সুরিয়া ৪৮-২-১৫৪-০, ধনাঞ্জায়া ৩-০৭-০)