ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তবে সেই সিদ্ধান্তের বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। খবর আনাদোলুর।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলতে পারব না সেটা কী হবে, তবে হ্যাঁ—আমি কিছু একটা ঠিক করেছি। ভেনেজুয়েলা থেকে দেশে মাদক প্রবেশ বন্ধে আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি।’
ট্রাম্প দাবি করেন, মাদক পাচার রোধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ফল দিতে শুরু করেছে। তবে তিনি মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার দিক থেকে চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের মেক্সিকো সমস্যা আছে, কলম্বিয়া সমস্যা আছে। তবে আমরা খুব ভালো করছি। কল্পনা করতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া মাদকের প্রবাহ এখন অনেকটাই কমে গেছে।’
গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক বহনের অভিযোগে অন্তত ২১টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব জাহাজ মাদক পরিবহনে যুক্ত ছিল এমন কোনো প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি। এসব হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় ভেনেজুয়েলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়া সদস্যদের মোতায়েন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঘোষণা করেন, ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ নামে একটি নতুন মিশন শুরু হচ্ছে, যার লক্ষ্য ‘আমাদের মহাদেশকে নরকো-সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করা।’
হেগসেথ সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা দপ্তর সেটি বাস্তবায়ন করছে।’
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে বৈঠকে ট্রাম্পকে ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন তার জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা। এতে স্থল হামলার বিকল্পও রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, হেগসেথ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ড্যান কেইন এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা ‘আগামী দিনগুলোর সম্ভাব্য সামরিক বিকল্পগুলো প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করেছেন।’

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক