নতুন আক্রমণের হুমকি হবে আরেকটি ব্যর্থতা : ইরান
ইরানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে যে, তাদের ওপর নতুন করে কোনো হামলা বা শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা হলে সেটি ‘আরেকটি ব্যর্থতা’ হিসেবে গণ্য হবে। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হলে "পুনরায় শক্তি প্রয়োগ" করার আশঙ্কা প্রকাশ করার পর ইরান এই প্রতিক্রিয়া জানাল। খবর এএফপির।
গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বোমা হামলা শুরু করলে পাল্টা জবাব হিসেবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ১২ দিনের এই যুদ্ধে ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পরমাণু স্থাপনা ও আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালায়। তবে ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।
সুইস সংবাদপত্র 'লে টেম্পস'-এ বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, যদি কূটনীতি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমি পুনরায় শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা করছি।
আইএইএ প্রধানের মন্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৃহস্পতিবার বলেন, গ্রোসির মন্তব্য উদ্বেগের কারণে নাকি হুমকি হিসেবে করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা এই ধরনের হুমকি দিচ্ছে তাদের বুঝতে হবে যে একটি ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি করলে কেবল আরেকটি ব্যর্থতাই ঘটবে।
গ্রোসি জানান, যুদ্ধের পর থেকে ইরান নিরাপত্তার অজুহাতে পরিদর্শনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং পরিদর্শকদের সামান্য কাজ করার অনুমতি দিয়েছে।
আইএইএ-এর মতে, ইরানই একমাত্র দেশ যারা পরমাণু অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা বোমার জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
গ্রোসি সতর্ক করে বলেন, ইরান পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে তাদের কাছে প্রায় ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরির পর্যাপ্ত উপকরণ থাকবে। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, তেহরান যে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে, তার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি কার্যকরভাবে বাতিল হয়ে যায়।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক