টানা চার মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ হামলায় রাশিয়ার কাছে বিস্তৃত ভূখণ্ড হারিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার দখলে চলে গেছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। তবে, সেভেরোদোনেৎস্ক-সহ রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া ইউক্রেনীয় শহরগুলো জয় করে আবারও ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

একই সঙ্গে বর্তমান সময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত শনিবার গভীর রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট আঘাত হেনেছে।‘’ এ হামলাকে তিনি তাঁর জনগণের মনোবল ভাঙ্গার জন্য নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, ‘সেভেরোদোনেৎস্ক, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক-সহ (রাশিয়ার কাছে হারানো) আমাদের সব শহরকে আমরা ফিরিয়ে আনব।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এ হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

মস্কো অবশ্য ইউক্রেনে তাদের এ আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে আখ্যায়িত করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের শুরুতে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড আক্রান্ত হলেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার ইউক্রেনের লুহানস্কের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এর মাধ্যমে পুরো লুহানস্ক অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে চলে গেল।