খেলোয়াড়দের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া নিয়ে কঠোর বার্তা এনএসসির
খেলাধুলা একটি জাতীর ঐক্যের প্রতীক। আর সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু তার বাইরে গিয়ে যদি খেলোয়াড়রা কোনো একটি পক্ষকে সমর্থন করেন, তাহলে সেই ঐক্য ভাঙন ধরে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল সাকিব আল হাসান-মাশরাফী বিন মর্তুজাদের রাজনীতিতে জড়ানোর পরে। সেই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে।
সামনে আরও একটি নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ডামাঢোল বাজতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচারণায় নেমে পড়েছে। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়দের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সমুন্নত রাখতে ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) দেওয়া এক চিঠিতে এনএসসি বলেছে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা কোনো দলের রাজনৈতিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপসচিব, ক্রীড়া পরিচালক আমিনুল এহসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়গণ দেশের সম্পদ এবং সকল নাগরিকের নিকট একাত্মতার প্রতীক। খেলাধূলা এবং খেলোয়াড়দের ভাবমূর্তি কোনো প্রকার রাজনৈতিক বা নির্বাচনী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হওয়া বা তাদের ব্যবহার করা ক্রীড়াঙ্গনের নিরপেক্ষতা ও পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে কাম্য নয়।’
খেলোয়াড়দের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা ক্রীড়ানীতির পরিপন্থি জানিয়ে ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচারণাকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ লক্ষ্য করছে, কোনো কোনো মহল বা ব্যক্তি জাতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড়দের প্রচারণায় বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনে করে, খেলোয়াড়দের এই ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম অংশ নেয়া জাতীয় ক্রীড়ানীতির পরিপন্থি এবং ক্রীড়াঙ্গনের পরিবেশকে কলুষিত করতে পারে।’
ফেডারেশনগুলোকে দুটি বিষয়ে কঠোরবার্তা দিয়ে চিঠিতে বলেছে, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা যাবে না। আর খেলোয়াড়দেরকে কোনো নির্বাচনী সভার মঞ্চে বা প্রচারণামূলক কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেওয়া হয়েছে এনএসসির চিঠিতে। বলা হয়েছে, ‘সকল খেলোয়াড়কে তাদের ক্রীড়া নৈপূণ্যের মাধ্যমে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ব্যক্তিগতভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে। ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে হবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামজা-জামাল-সামিতরা ফেনীর সোনাগাজী-দাগনভূঞার জন্য শুভেচ্ছামূলক বার্তা দিয়েছেন। সেখানে কারো জন্য ভোট বা প্রচারণা ছিল না সরাসরি কিন্তু ঐ ভিডিও’র এক পর্যায়ে ফেনী তিন আসনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নির্বাচনে ভোটের জন্য ছবি ও রাজনৈতিক দলের প্রতীক দেখা গিয়েছিল।

স্পোর্টস ডেস্ক