ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে দেড় লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও
ইতিহাস গড়ে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে জায়গা করে নিল ছোট দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। মাত্র দেড় লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি কনক্যাকাফের ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিশ্চিত করেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে শেষ ম্যাচে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেই তাদের লক্ষ্য পূরণ হতো, আর ঠিক সেটিই করেছে তারা।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে কুরাসাওয়ের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার। এটি এখন বিশ্বকাপে ওঠা সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। দেশটির আয়তনও মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার। মূল কুরাসাও দ্বীপ ও জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’ দ্বীপ নিয়ে দেশটি গঠিত। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এখন তারা আছে ৮২ নম্বরে।
এর আগে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার রেকর্ড ছিল আইসল্যান্ডের, সাড়ে ৩ লাখ জনসংখ্যার দেশটি ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেছিল।
নেদারল্যান্ডস রাজ্যের সাংবিধানিক দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপরাজিত। ছয় ম্যাচে তিন জয় ও তিন ড্র নিয়ে তারা পায় ১২ পয়েন্ট। জ্যামাইকা ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মতো দলকে পেছনে ফেলেই তারা নিশ্চিত করে শীর্ষস্থান। বাছাইপর্বে বারমুডাকে তারা হারায় ৭–০ ব্যবধানে।
দলটির কোচ ডিক আডভোকাট বিশ্ব ফুটবলের পরিচিত মুখ। নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দলকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণে শেষ ম্যাচে মাঠে না থাকলেও তার দল কাজ ঠিকই করে দিয়েছে।
এই দিনে কুরাসাওয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে হাইতি ও পানামাও। নিকারাগুয়াকে হারিয়ে ৫২ বছর পর আবারও মূল পর্বে উঠেছে হাইতি। রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্ভিক্ষ ও ঘরছাড়া মানুষের সংকটের মধ্যেও এই সাফল্য এসেছে। নিজেদের দেশে ম্যাচ খেলার মতো পরিবেশ না থাকায় তারা খেলেছে কুরাসাওয়ের মাঠে।
এই মহাদেশ থেকে জ্যামাইকা ও সুরিনাম সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পেলেও তাদের আশা অবশ্য শেষ হয়নি। আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে দুটি দলই। বলিভিয়া, কঙ্গো, ইরাক ও নিউ ক্যালেডোনিয়াকে নিয়ে মার্চে হবে প্লে-অফ, যেখানে দুই দল পাবে বিশ্বকাপের শেষ দুই টিকিট।

স্পোর্টস ডেস্ক