রেকর্ড গড়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান
সিরিজের প্রথম ম্যাচে রিজওয়ানের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে ১-০তে এগিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। পরের ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে সিরিজ সমতা নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন অবস্থায় গতকাল রোববার রাতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। ম্যাচের শুরুতেই পাকিস্তান বোলারদের বোলিং তোপে ৪৮ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় লড়াইয়ে ফেরায় লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। জানেমান মালান ১৭ বলে ২৭ রান ও পাইট ফন বিলওন ১১ বলে ১৬ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
সপ্তম উইকেটে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ১৭ রানের জুটি গড়েন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। অষ্টম উইকেটে বিওর্ন ফরচুনকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিলার। ফরচুন এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তাঁর ১২ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস প্রোটিয়া বাহিনীকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। নবম উইকেটে লুথো সিপাম্লাকে নিয়ে আরও ৫৮ রান যোগ করেন মিলার। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা আট উইকেটে ১৬৪ রান করে। যেখানে একটা সময় সন্দেহ তৈরি হয়েছিল তারা ১০০ রানের গণ্ডি পার হতে পারবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৫ বলে ৮৫ রানের এক দুরন্ত ইনিংস খেলেন মিলার। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কায়।
১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের পক্ষে অসাধারণ শুরু করেন রিজওয়ান ও হায়দার আলী। হায়দার বোল্ড হলে ৫১ রানের জুটি ভাঙে। হায়দারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান তাবরেজ শামসি। নিজের পরের ওভারে রিজওয়ানকেও আউট করেন তিনি। তৃতীয় ওভারে এসে হুসাইন তালাতকে বোল্ড করে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ান শামসি। নিজের শেষ ওভারে এসে আসিফ আলিকে আউট করে শামসি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনে কম্পন ধরান। আগের ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ প্রিটোরিয়াস পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান। বাবর ৩০ বলে ৪৪ রান করেন। ১১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে পাকিস্তান। এরপর ফাহিম আশরাফকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন ফরচুন।
তবে মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান আলি দ্রুত রান তুলে ম্যাচ পাকিস্তানের পক্ষে ঘুরিয়ে দেন। হাসান সাত বলে ২০ রান এবং নওয়াজ ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। এ জয়ের ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা হন হাসান। প্রসঙ্গত, তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি ১০০ তম জয়। এই প্রথম কোনো দল এতগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল।

স্পোর্টস ডেস্ক