বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পুরানো জোনে অবস্থিত তিনটি কারখানার কয়েকশ শ্রমিক।

শ্রমিকেরা জানান, হংকংয়ের মালিকানাধীন সাউথ চায়না ব্লিসিং ট্যাক্সটাইল লিমিটেড, অ্যাক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড এবং গোল্ডট্যাক্স গার্মেন্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমন ঘোষণায় কারখানা তিনটিতে কর্মরত প্রায় চারহাজার শ্রমিকের কর্মজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পাওনা পরিশোধের দাবি তুলে শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে প্রথমে শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা অবরোধ প্রসঙ্গে অনড় অবস্থান জানালে এক পর্যায়ে শিল্প পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।