নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাইকে ঘোষণার পর দুই দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিরতরামপুর খেয়াঘাটে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে স্থানীয় শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার (৩ ও ৪ নভেম্বর) দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হবার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছিল।

শনিবার সকালে পুলিশ না থাকার সুযোগে দুই পক্ষের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতরা গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : ৪ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফা সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। শনিবার ভোরে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থানের পর হতে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন : আরও ১৬ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির

ওসি বলেন, এতে দুই থেকে তিনজন সামান্য আহত হয়েছে এবং বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।