সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে ফের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ, ভোগান্তি
 
নির্বাচন কমিশনের সম্প্রতি গেজেটে নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে ফরিদপুরে চতুর্থ দিনের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়ক গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় যাত্রীসহ সাধারণের ভোগান্তি বাড়তে শুরু করেছে। এই পথ দিয়ে যাওয়া আসারত যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের দিনদিন ভোগান্তি বেড়েই চলছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুটি ইউনিয়নের সীমানাবর্তী হামিরদী বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডসহ প্রায় ১০টি স্থানে মহাসড়কের রাস্তায় গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়। এ সময় দুটি মহাসড়কের প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
এ সময় অবরোধকারীরা জানান, গত ১১৮ বছর যাবত আমরা ভাঙ্গা উপজেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছি। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে আমরা ভাঙ্গা উপজেলাবাসী এক আত্মার বন্ধনে এক পরিবার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। নির্বাচন কমিশনের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ সরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হবে। এখন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও সামনে আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য করা হবে।
 
এদিকে রাস্তা অবরোধ করার কারণে, দুটি মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ লাইনে যানবাহন আটকা পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ছাড়া কোন কিছুই তারা যেতে দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ জানান, দুটি মহাসড়কে রাস্তায় গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয়রা। এখনো বরিশাল মহাসড়কটি যানবাহন চললেও যে পরিস্থিতি দেখছি সেটিও হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। সম্পতি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা থেকে নগরকান্দায় যুক্ত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারীরা। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ব্যাপক হারে বেড়েছে। তারা অতি দ্রুত এর একটি সমাধান চান সরকারের কাছে।

 
                   সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর
                                                  সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর
               
 
 
 
