আঁশবিহীন, রসালো ও সুস্বাদু হাঁড়িভাঙ্গা আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে রংপুর কৃষি অঞ্চলে। এবারের মৌসুমে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। আগাম তাপপ্রবাহের কারণে ২০ জুনের আগেই আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে, যা চলবে জুলাই পর্যন্ত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ২ হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয় ৩৮ হাজার ৫০৮ টন হাঁড়িভাঙ্গা আম। শুধু রংপুর জেলায় উৎপাদন হয়েছিল ২৯ হাজার ৭৭২ টন। এবার এই জেলায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা করা হচ্ছে।

বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশে আমের আকার বড় হয়েছে। হাঁড়িভাঙ্গা আম ইতোমধ্যেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যার কারণে দেশে-বিদেশে এর চাহিদা বাড়ছে।

রংপুরের মিঠাপুকুর, টেকানি, আখিরারহাট ছাড়াও পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ হচ্ছে। পোড়াগঞ্জ হাটে বসে দেশের অন্যতম বড় হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাজার, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার কেজি আম কেনাবেচা হয়। 

কৃষক আব্দুস সালাম ১৯৯২ সাল থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করছেন, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অনেকেই লাভের আশায় এই আম চাষে ঝুঁকছেন। অনেক তরুণ অনলাইনে আম বিক্রি করে সাফল্য পেয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা প্রতি বছর হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ সম্প্রসারণ করছেন এবং রংপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় টেকসই কৃষি-অর্থনীতি অর্জিত হচ্ছে।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, অনেক যুবক এখন হাঁড়িভাঙ্গা আমের অনলাইন বিপণনের মাধ্যমে ভালো ব্যবসা করছেন এবং আগের বছরের মতো এবারও রংপুর থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে সুস্বাদু এ ফল পৌঁছে দিচ্ছেন।