সুদানে অর্ধেকের বেশি মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন
ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান শার্লট স্লেন্ত জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। কায়রো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে সংঘাত শুরুর পর হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই সুদানে, মানবিক বিপর্যয়ে লাখো মানুষ
সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ চাদের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল পরিদর্শনের পর ড্যানিশ শরণার্থী কাউন্সিলের মহাসচিব শার্লট স্লেন্ত এই সপ্তাহে ফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এমন এক পরিস্থিতি দেখছি, যেখানে ৩ কোটিরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এটি সুদানের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের যে দুর্ভোগ দেখছি তা অকল্পনীয়।’
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সুদানের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫ কোটি।
চাদের সীমান্তবর্তী দারফুর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র লড়াই হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আরএসএফ ১৮ মাসের অবরোধ শেষে দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি এল-ফাশের শহর দখল করেছে এবং এরপর থেকে নৃশংসতার খবর বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: সুদানে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতা’ নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কতা
শার্লট স্লেন্ত বলেন, ‘এখানে এমন সব অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’ তিনি জানান, এনজিওর পর্যবেক্ষণে সুদানে গণহত্যা ও যৌন সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শ্লেন্ত আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে আটক, অপহরণ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং নির্যাতনের ঘটনা দেখছি।’

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)