তেল শোধনাগারে হামলার জবাবে ইউক্রেনে বড় হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনের হামলার জেরে রাশিয়ার একটি তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর জবাবে রাশিয়া ইউক্রেনের ১৪টি অঞ্চলে একযোগে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এই হামলায় দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে একজন নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া প্রায় ৫৪০টি ড্রোন ও ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তিনি বিশ্বকে মস্কোর ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা সফলভাবে সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে এই দাবির কোনো নিরপেক্ষ সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ড্রোনগুলো রাতারাতি রাশিয়ার ক্রাসনোদার ও সিজরান তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে। ক্রাসনোদারের রুশ কর্তৃপক্ষও তাদের তেল শোধনাগারে হামলার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, এতে একটি ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও আগুন লেগেছে।

দুই যুদ্ধরত দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও এই হামলাগুলো শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন করে বাধা সৃষ্টি করেছে। কিয়েভ এর আগে যুদ্ধের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান হামলার মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। ইউক্রেনের পূর্ব দনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে একাধিক অবকাঠামোতে হামলা হয়েছে ও একটি আবাসিক বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই সপ্তাহান্তে ডেনমার্কে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন। তাদের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো রাশিয়ার ২১০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের সম্পদ জব্দ করা। ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেবে।