ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত রাখবে তুরস্ক
ইরাকের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরাকের সংবেদনশীলতার প্রতি লক্ষ রেখে মসুল প্রদেশ থেকে তুরস্কের সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, বাগদাদে সেনা মোতায়েন নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা কমাতে গত শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই সময় তুরস্কের সেনা প্রত্যাহার করে নিতে এরদোয়ানকে অনুরোধ করেন তিনি। একই সঙ্গে ইরাকের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার কথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওই কথোপকথনের একদিন পরই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিল তুরস্ক। এতে বলা হয়, বাগদাদের সঙ্গে তুরস্কের আসলে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তবে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে ইরাক সরকারকে আগের মতোই সহায়তা দিয়ে যাবে তুরস্ক।
তুরস্কের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে মসুলের কাছের বাসিকা ক্যাম্পে তুরস্কের সেনা প্রশিক্ষকদের রক্ষা করতে ১৫০ থেকে ৩০০ সেনাসদস্য এবং ২০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়। এই সেনা মোতায়েনকে বাগদাদ তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করছে।
অন্যদিকে তুরস্কের দাবি, আইএসের সঙ্গে লড়াই করতে ইরাকের মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ দিতে তুরস্ক সহযোগিতা করছে। এর পরও বাগদাদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক