ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শান্তি আলোচনা কি শুধুই ধোঁয়াশা?
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যকার আলোচনা কি আসলেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাকি এই আয়োজন শুধুই ধোঁয়াশা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের কূটনৈতিক প্রতিবেদক পল অ্যাডামসের একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের কয়েক দিনের মধ্যেই এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়। এখনও তা চলমান রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে তুরস্কে বৈঠকে করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ সপ্তাহেও বেশ কিছু সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনা এবং রাশিয়ার দাবিদাওয়ার কথা জানা গেছে। কিন্তু এই শান্তি প্রক্রিয়া আসলে কতটা বাস্তবধর্মী, যেখানে মারিওপোলের মতো শহরে রাশিয়ার উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ জারি রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস্ট দেশটির পুরোনো পত্রিকা দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা অনেক নেতার মতোই সন্দেহের কথা জানিয়ে বলেন, ‘এতে যা দেখা গেল, রাশিয়ার লোকজনকে বুঝ দেওয়ার জন্য একটি উপায় তৈরি করা গেল। আমার মনে হয়, এখন পর্যন্ত এইসব আলোচনার আয়োজন চলমান ধ্বংসযজ্ঞ আড়াল করার জন্য কিংবা তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা ও ধোঁয়াশা।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ইউক্রেনের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন ইভানা ক্লিম্পাস সিনৎসাডজে বলছেন, ‘এই শান্তি আলোচনায় কার্যকর আলাপের কোনো বাস্তব ক্ষেত্র তৈরি হয়নি।’
রাশিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে ইভানা ক্লিম্পাস সিনৎসাডজে বলেন, ‘কার্যকর আলোচনার জন্য তারা একেবারেই প্রস্তুত নয়। তারা শুধু ইউক্রেনীয়দের দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।’
যদিও সর্বশেষ রাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাতে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার কথাই বুঝিয়েছেন।
কিন্তু পুতিন বহু আগে থেকেই এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আসছেন। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে প্যারিসে দুজনের সাক্ষাতে পুতিন আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখান করেন।
এদিকে, সম্প্রতি দুই নেতাকে এক টেবিলে বসাতে তুরস্কের পক্ষ থেকে যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তা এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় রূপ নেয়নি। বর্তমানে যে পর্যায়ে রয়েছে, এর থেকে অগ্রগতি না হলে সুনির্দিষ্ট কিছু আসলেই মিলবে না।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক