নাসিরের নৈপুণ্যে জিতল রংপুর, তৃতীয় দিনেই জয় সিলেটেরও
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় দিন চলছে। এর মধ্যেই রেজাল্ট এসেছে দুটি ম্যাচে। ব্যাটহাতে দলের দায়িত্ব নিয়ে বিপদে পড়া রংপুরকে জিতিয়েছেন নাসির হোসেন। অন্যদিকে, সিলেটের অধিনায়ক জাকির হাসান আর পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহির বোলিং নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে সিলেটও।
নাসিরের ব্যাটে রংপুরের জয়
ঘরের মাঠে রংপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসে পড়ে রাজশাহী। শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে ১০ রানের লিড নিয়ে নেমে রংপুরের বোলারদের তোপে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী বিভাগ। পেসার মেহেদী হাসান একাই নেন ৪ উইকেট। তিনটি করে উইকেট পান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ আর রবিউল হক।
১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বিপদে পড়ে যায় রংপুরও। ৫৯ রান তুলতেই হারায় ৫ উইকেট। ব্যাটহাতে সেই বিপদ সামাল দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাসির হোসেন। তানভীর হায়দারের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। রংপুর জয় পায় ৫ উইকেটে।
জাকির-আবু জায়েদের নৈপুণ্যে সিলেটের জয়
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। অধিনায়ক জাকির হোসেনের ৭৩ আর রেজাউর রহমান রাজার ৫৭ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৫৫ রান তুলে সিলেট। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
১৪৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে স্কোরবোর্ডে আরও ২০৭ রান যোগ করে সিলেট। এই ইনিংসেও সিলেটের হয়ে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক জাকির। তিনি করেন ৬১ রান আর অমিত হাসান খেলেন ৫৮ রান।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম থামে ২০৫ রানে। ১৪৭ রানের বড় জয় পায় সিলেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে সিলেটের হয়ে ৯ উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ রাহী।
বরিশালের বিপক্ষে বিপদে ঢাকা
কক্সবাজারে বরিশালের বোলিং তোপে বেশ বিপাকেই পড়েছে ঢাকা বিভাগ। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। এরপর ১২৪ রান তুলতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। তৃতীয় দিন শেষে মোটে ৫৬ রানে এগিয়ে আছে তারা। হাতে আছে মোটে ৫ উইকেট।
এর আগে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বরিশাল। এর আর মাত্র ৯৮ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় তারা। সবমিলিয়ে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪১ রান।
ড্রয়ের পথে হাঁটছে খুলনা-ময়মনসিংহ
নিজেদের প্রথম ইনিংসে দারুণ একটি সেঞ্চুরি উপহার দেন সৌম্য সরকার। তার সেই ইনিংসে ভর করে ৩৮৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল খুলনা বিভাগ।
প্রথম আসরেই চমক দেখানো ময়মনসিংহও কম যায় না। যদিও তাদের কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পায়নি। তবুও দলীয় প্রচেষ্টায় ছুঁয়ে ফেলেছে খুলনাকে। এখনো হাতে আছে তিন উইকেট। ময়মনসিংহের হয়ে ফিফটি করেছেন মোহাম্মদ নাঈম, আজিজুল হাকিম, আবদুল মজিদ, আল আমিন জুনিয়র ও আরিফ আহমেদ।
শেষ দিনে এখন নাটকীয় কিছু না ঘটলে ম্যাচটা ড্রয়ের দিকেই হাঁটছে।

স্পোর্টস ডেস্ক