ভারতের বিপক্ষে ২২ বছরের ইতিহাস ভাঙতে চান শমিত
হামজা চৌধুরী-শমিত সোমদের আগমনে বদলে গেছে দেশের ফুটবল। মাঠেও বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী দল। লাল-সবুজের জার্সিতে চারটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শমিত। কিন্তু এখনো জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
ঘরের মাঠে আগামী ১৯ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচই আক্ষেপ ঘোচাতে চান শমিত। জয়ের উৎসবে রাঙাতে চান দর্শকদের। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) মাঠে নামার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তেমনই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন শমিত।
ভারত-বাংলাদেশ দুই দলের দ্বৈরথটা বেশ পুরোনো। তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে অনেকদিন আগে। সবশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে ২-১ ব্যবধানে হেসেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু করেছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। শিলংয়ে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দেশে ফেরে ড্র করে। সে ম্যাচে অবশ্য শুধু হামজা চৌধুরীই খেলেছিলেন। শমিত এবারই প্রথম ভারতের বিপক্ষে খেলবে। এই ম্যাচ দিয়েই ২২ বছরের সেই অপেক্ষা ঘুচিয়ে ভারতের বিপক্ষে জেতার আশা শমিতের।
শমিত বলেন, ‘জানি, ভারত ভালো দল, আমরাও ভালো দল। এই ম্যাচটার অনেক অর্থ আছে, তাই না? যে দ্বৈরথটা আমাদের মধ্যে আছে, ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত থাকব। আশা করি, আমরা জিততে পারব। আমরা ভালো খেলতে পারি, ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারি। যে জয়টা খুঁজছি আমরা, এই মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা আশা করি পাব।’
এই জয় পেতে হলে বাংলাদেশের পুরো মাঠকে গাঁথতে হবে এক সুতোয়। ডিফেন্সে তুলতে হবে প্রাচীর, মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণের সুর তুলে দিতে হবে মিডফিল্ডারদের। শমিতও বললেন সে কথা।
শমিত বলেন, ‘হ্যাঁ, মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি, পুরো দল, গোলকিপার, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং-সব পজিশনের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, জিততে পারব। বিগত ম্যাচগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, কিন্তু জয়টা পাচ্ছি না। জয়টা আমাদের পাওয়া উচিত। আশা করি, আমরা এবার সেটা পাব।’
গত কয়েকটি ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বারবার হতাশা হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হামজা-সোমিতদের। সর্বশেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এই ভুল আর করতে চায় না। শমিত বলেন, ‘ফুটবলে এমন হয় (শেষ দিকে মনোযোগ হারানো), তাই না? আমরা কেবল ভাগ্যকে পক্ষে পাচ্ছি না। জানি না, কী কারণে আমরা মনোযোগ হারাচ্ছি, কিন্তু আশা করি, ভাগ্যকে সামনে পাশে পাব, মনোযোগ হারাব না এবং আমরা যেন ওভাবে গোল হজম না করি।’

স্পোর্টস ডেস্ক