শেয়ার ফেরত না দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘেরাও
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে ভেঙে দেওয়া এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে, এই ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে তাদের শর্ত মানা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বানারে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমানসহ বিনিয়োগকারীরা।
আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, অর্থ উপদেষ্টা, গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা না করে এক করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। তাই উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তারা পদত্যগ না করলে আগামী মঙ্গলবার দুপুরে ওই পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
পাঁচ ব্যাংকের একীভূত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে জানিয়ে মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের কষ্টে অর্জিত বিনিয়োগকে শূন্য ঘোষণা করেছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ভেঙে দেওয়া পাঁচ ব্যাংকগুলোর শেয়ারের বিপরীতে কিছুই পাবেন না। এটা হতে পারে না। এটা করার এখতিয়ার নাই এই অন্তর্বর্তী সরকারের। মার্জার বা একীভূত করতে হলে আগামী নির্বাচিত সরকার এলে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে মার্জার বা একীভূত প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, যেই প্রক্রিয়ার ব্যাংকগুলো মার্জার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুল প্রক্রিয়া। যদি মার্জার করতেই হয়, তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে সিদ্ধান্ত নিবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক