ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন কলেজে পাস করেনি কেউ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার তিনটি কলেজের একজন শিক্ষার্থীও এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬ জন এবং চান্দপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। অন্যদিকে, নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকেই পরীক্ষার্থীরা শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে।
এই ফল বিপর্যয়ের কারণে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, শিক্ষক সংকট, অ্যাকাডেমিক দুর্বলতা, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনিয়মিত উপস্থিতি এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবই এমন ফলাফলের মূল কারণ।
নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান মোহাম্মদ আজমল বলেন, আমাদের কলেজ থেকে ৬ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন এক বিষয়ে, দুজন দুটি বিষয়ে এবং দুজন তিনটি বিষয়ে ফেল করেছে। তারা বলেছিল ভালো পরীক্ষা দিয়েছে, পাস করবে। তাদেরকে রি-এক্সামিন (পুনঃনিরীক্ষণ) করতে বলেছি, তারা করবে বলেছে। কী জন্য ফেল করেছে, তা বলতে পারছি না। তাছাড়া সারাদেশেই এ বছর ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।
চান্দপুর আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল হক বলেন, আমরা মূলত স্কুল বেইসড কলেজ। আমরা এ বছর নতুন পরীক্ষা দিয়েছি। এ বছর ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি। আমাদের শিক্ষক সংকট রয়েছে, এমপিও নেই। খণ্ডকালীন শিক্ষকরা ভালো চাকরি পেলে চলে যায়। তাছাড়া কয়েকদিন পর পর কমিটি পরিবর্তন হয়। এজন্যই মূলত ভালো ফলাফল হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন জানান, এই ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক তদারকি বাড়ানো হবে। এছাড়াও, কেন এমন ফল হলো সেই বিষয়ে শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।