৪ শিক্ষার্থীর জন্য ১০ শিক্ষক, তবুও সবাই ফেল

নওগাঁর বদলগাছীর বালুভরা আর.বি. উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ১০ শিক্ষক থাকলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য শতাংশে। এ ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে বালুভরা আর.বি. উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে কলেজ পর্যায়ের পাঠদানের অনুমতি মেলে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে ক্লাস নেন না। এবছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে চারজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, একই স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল ও কলেজ হওয়ায় কে কলেজের শিক্ষক আর কে স্কুলের শিক্ষক- তা বোঝা যায় না। কিছুদিন ধরে কলেজের মূল ফটকেও তালা দেওয়া রয়েছে।
এ বিষয়ে বালুভরা আর.বি. উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডেজিআরা পারভিন বলেন, এবারে আমাদের কলেজ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ৪ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। কাগজে-কলমে ১০ জন শিক্ষক থাকলেও এনটিআরসির মাধ্যমে কেউ কেউ নিয়োগ নিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছেন। আমি চলতি বছর এপ্রিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি, কিছুদিন হলো। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না। যে চারজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি তাদের নাম জানি না। আসলে অনেক ঘটনা আছে, এই মুহূর্তে আর কিছুই বলতে পারছি না।
বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম বলেন, বদলগাছীতে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিং ও শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, কলেজ তো আমার অধিভুক্ত নয়। এই বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ভালো বলতে পারবেন। আমি শুনেছি, তারা চার-পাঁচ বছর আগে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল হাতে পেলে, তারপর তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।