পাসের দ্বিগুণ ফেল ইটনা সরকারি কলেজে
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় অবস্থিত ইটনা সরকারি কলেজ আবারও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। চলতি বছরে কলেজটির পাসের হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ২১.২৮% কমে গেছে, যা উত্তীর্ণের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ফেলের সংখ্যা নির্দেশ করে।
ইটনা সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষায় কলেজটি থেকে মোট ৪০৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯২ জন অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৪১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৫১ জন। কলেজটির পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৭ শতাংশ। এই হতাশাজনক ফলাফল স্থানীয় এলাকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সমালোচকরা দাবি করছেন, বারবার এমন খারাপ ফলাফলের জন্য ইটনা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অবহেলাই দায়ী। তাদের অভিযোগ, কলেজ প্রশাসনের নজরদারির অভাবে শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে যাচ্ছেন না, আর যারা যাচ্ছেন তারাও দায়িত্বহীনভাবে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে চাইলে কেউই সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি।
তবে ফলাফল নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইটনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তন্ময় রায় মিঠু। তিনি জানান, তারা সবসময়ই ভালো ফলাফলের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি শিক্ষক সংকটকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন, যার ফলে শিক্ষাদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী না হওয়া এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ছেলে-মেয়েদের প্রতি নজরদারির অভাবকে আশানুরূপ ফল না পাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভালো ফলাফল করার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ইটনা সরকারি কলেজের পাসের হার ছিল ৫৭.২৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ জন শিক্ষার্থী। এর আগেও, ২০২৩ সালেও কলেজটি পাশের চেয়ে তিনগুণ ফেল করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল।

মোজাহিদ সরকার, কিশোরগঞ্জ (অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলা)