বিএনপিনেতা ফজলুর রহমানের আদালত অবমাননার শুনানি রোববার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের পর আদালত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি আগামী রোববার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-১ এ অভিযোগ দাখিলের পর শুনানির এ দিন ধার্য করেন আদালত।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। গত ২৩ নভেম্বর একটি টিভি অনুষ্ঠানে তিনি ‘ট্রাইব্যুনালের বিচার মানি না’ এমন মন্তব্য করেন।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর একটি টিভি চ্যানেলের একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান। ওই টকশোতে ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট আমি মানি না।’
পরে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘সবাই জানে, জানবে না কেন? আমার ইউটিউব শুনেন, আমি এই কোর্ট মানি না। এই কোর্টের বিচার আমি মানি না, ইউটিউবে বলেছি, টকশোতে বলেছি। যদি না বলে থাকি এখন বললে আমার ভুল, মাফ চাইব, প্রতিদিন বলছি এই কোর্টের বিচার আমি মানি না। এই কোর্টের গঠন প্রক্রিয়া বলে এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যারা বিচার করছে আমার ধারণা এদের মধ্যে, এদের ভেতরে একটা কথা আছে।’
এছাড়াও ওই টকশোতে ফজলুর রহমান অনেক মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন আরও জানিয়েছে, আমরা শুধু কোর্ট নিয়ে তিনি যেটুকু কথা বলেছেন সেটি ট্রাইব্যুনালের সামনে পড়েছি। সেই সঙ্গে পুরো ৪৯ মিনিটের ওই টকশোটি আমরা পেনড্রাইভে করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, এই আইনের ১১(৪) ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল একটি প্রসিডিংস্ ইস্যু করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করতে পারবেন। তবে এই আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, সবকিছু শুরুর আগেই অভিযুক্তকে একটি নোটিশ ইস্যু করে ট্রাইব্যুনালে ডেকে আনতে হবে এবং ট্রাইব্যুনাল তার বক্তব্য শুনবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক