সাঘাটায় নির্বাচনি শোডাউনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিরোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এই ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আলহাজ নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ ফারুক আলম সরকারের সমর্থকদের পৃথক মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় প্রশাসন এ আদেশ জারি করেছে।
১৪৪ ধারা চলাকালীন অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
জানা গেছে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদ নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আজ একটি মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও নিশাদপন্থী কর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নাহিদুজ্জামান নিশাদের কর্মীরা শোডাউনে অংশ নিতে জুমারবাড়ী যাওয়ার পথে হাপানিয়া ও ডাকবাংলা মোড়ে বিএনপিকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় অন্তত ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে দহিচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ দাবি করেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার শোডাউন ও গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে।’
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা-ফুলছড়ি)