বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ময়মনসিংহে জেলা ছাত্রদলনেতার মৃত্যু
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে এবং উভয়পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি তানজিন আহমেদ মিঠু মারা গেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সম্ভবত স্ট্রোকজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন।’
আজ সন্ধ্যার আগে জনসংযোগ করে ফিরছিলের ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়া প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ। গৌরীপুর পাট বাজার এলাকায় পৌছালে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপিনেতা আহমেদ তাইয়েবুর রহমান হীরনের সমর্থকরা তার গাড়ি বহরে হামলা করে। এরপর ঘণ্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।
প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ অভিযোগ করেন, হীরনের তিন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হলে হামলাকারীদের প্রতিহত করা হয়। হামলায় ধানের শীষের পক্ষের এক ছাত্রদলনেতা নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আহমেদ তাইয়েবুর রহমান হীরনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে হীরনের ছোট ভাই গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান কিরণ বলেন, গৌরীপুর মধ্য বাজারে আজ বিকেলে তাদের মহিলা সমাবেশ ছিল। বিকেলে ইকবালের লোকজন সেই সমাবেশে হামলা চালিয় তা পণ্ড করে দেয়। পরে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয় হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন নারী আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। আজ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একজন ছাত্রনেতা মারা গেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সম্ভবত স্ট্রোকজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর আমার এখানে পেশেন্ট আসে। আমি ইসিজি করে বুঝেছি হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা গেছেন

আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ