সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে এসে তিনি তারেকের অনশন ভাঙান।
এ সময় তিনি তারেককে বলেন, আগামীকাল আপিল আবেদন করবে। আর এর মধ্যে কয়েকটি অফিস সংস্কার করবে। এখন তোমার অনশন ভাঙা উচিত।
এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে নিয়ে যান তার সমর্থকরা।
গত ৪ নভেম্বর ইসি তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে—বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিবন্ধন না পাওয়ায় ওই দিন বিকেল ৪টা থেকেই ইসির ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন আমজনতা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ রোববার সকাল থেকেই তারেক রহমানের স্যালাইন চলছিল। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না, দিনের বেশির ভাগ সময় শুয়েই কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে উপস্থিত লোকজনকে ডেকে তিনি নিজ দলের কাগজপত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ইসি তাদের নিবন্ধন দিচ্ছে না।
দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসির পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব এসেছিলেন আমার অনশন ভাঙাতে। কিন্তু নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।
গত ৫ নভেম্বর আমজনতা দল কেন নিবন্ধন পায়নি, তা জানিয়ে দলটিকে চিঠি দেয় ইসি। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য সঠিক আছে। তবে ২২টি জেলার মধ্যে দু্ইটি জেলা এবং ১০০টি উপজেলার মধ্যে ৬৭টি উপজেলায় সঠিক ও কার্যকর অফিস থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব উপজেলা অফিসে ২০০ জন ভোটার সদস্য থাকার তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে আমজনতা দলের নিবন্ধন নিয়ে ইসি নতুন করে ভাবছে কি না—জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ আজ সাংবাদিকদের বলেন, কী হবে সেটা আপনারাই ভালো জানেন, আমরা কী বলব?
তারেকের অনশনের ১২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে ইসি সচিব বলেন, ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন কি বিধিমালার বাইরে যেতে পারে? আপনি উত্তর পেয়ে গেছেন।
পরে বিকেল ৩টার দিকে আখতার আহমেদ বলেন, আইনগতভাবে আমরা যেটুকু আমাদের দিক থেকে বলার, আমরা সেটা বলেছি চিঠির মাধ্যমে। এখন ওনারা আপিল করলে করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে, সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন—এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন এবং আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যান।

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)