নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎকে কারণ দর্শাও (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এছাড়াও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন ও মঞ্জুরে এলাহীর পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে বিদ্যুৎকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে- ‘সম্প্রতি আপনি (বিদ্যুৎ) এক সভায় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা সম্পূর্ণরূপে সাংগঠনিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত আপনার সেই বক্তব্যের ফুটেজ আমাদের নিকট রয়েছে। এ ধরণের শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এছাড়াও নরসিংদী জেলা বিএনপির শোকজ নোটিশে বিদ্যুতের উদ্দেশে লেখা হয়েছে- আপনার সদয় অবগতি ও পত্র প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদান করার জন্য জানাইতেছি যে, গত ১১ই অক্টোবর রায়পুরা উপজেলা বিএনপি কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির সভায় আপনার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি-বিভাজন সৃষ্টিসহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যা স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। আপনার বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে রক্ষিত। যাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। কাজেই আপনাকে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারী বরাবর লিখিত জবাব প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এই নোটিশের অনুলিপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,  সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর ও যুবদলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছেও দেওয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে, মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ বলেন, আমি শোকজের জবাব রেডি করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই জমা দিব। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কারও নাম ধরে এবং কারও বিরুদ্ধে বক্তব্য দেইনি। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।