বাতিঘরের মৃৎশিল্প কর্মশালায় শিশুরা পেলো মাটির ছোঁয়া
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো দুইদিনব্যাপী মৃৎশিল্প কর্মশালা। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার (২৮ ও ২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে বাতিঘরের পাঁচটি শাখার প্রায় ৫০ জন শিশু।
ব্যস্ত যান্ত্রিক শহরে মাটির ছোঁয়া দিতে আর শিশুদের মটর স্কিল বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এই আয়োজন করে বাতিঘর। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সিঁথি বিশ্বাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সিঁথি বিশ্বাস কর্মশালা প্রসঙ্গে বলেন, এমন আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এই দুইদিনের অভিজ্ঞতা আমার ভবিষ্যতে অনেক কাজে সাহায্য করবে।
এই আয়োজনের মূল ভাবনা বাতিঘরের কর্মী শ্রাবন্তী তন্বীর। তিনি বলেন, “মৃৎশিল্পের কাজ এক সময় বাতিঘরে নিয়মিত হতো। মাটির কাজের প্রদর্শনীও করেছে শিশুরা। কিন্তু নানাবিধ অসুবিধার জন্য অনেকদিন মৃৎশিল্পের কাজ করা হয়নি। অনেকদিন পর আবার আমরা শিশুদের মৃৎশিল্পের সঙ্গে পরিচয় করাতে পেরে ভালো লাগছে।
শ্রাবন্তী তন্বী আরও বলেন, আমরা আরও একটি বিষয় চিন্তা করেছি যে বাতিঘরের শিশুরা তো নিয়মিত শিক্ষকদের সাথে খুবই আপন হয়ে উঠেছে। তাদের পাশাপাশি নতুন বিষয় নিয়ে নতুন শিক্ষকদের সান্নিধ্যে আসুক। মিলতে শিখুক সকলের সাথে। এই চিন্তা থেকেই কয়েক মাস আগে তামান্না তিথির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আবৃত্তি কর্মশালা। আর বাতিঘর চায় এমন আয়োজন নিয়মিত করে যেতে।”
বাতিঘরের পরিচালক মরিয়াম ইউসুফ বাতিঘরের সব শিশুর অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নভেম্বরের এই সময়টায় স্কুলে সব শিশুর পরীক্ষা চলে। যার কারণে সত্যি খুব দ্বিধায় ছিলাম আয়োজনটা নিয়ে। কারণ লেখাপড়ায় কোনভাবেই ক্ষতি হোক এটা আমরা চাই না। কিন্তু এই সময়টা না করেও কোন উপায় নেই। করতেই হবে। কারণ আর একমাস পর আমাদের ‘পুতুলবিয়ে উৎসব’। তার মহড়া শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে টানা মহড়া চলবে। তাই এখন ছাড়া আর সময় পাওয়া যাবে না। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবার পর অভিভাবকেরা যেভাবে সাহায্য করেছেন তা সত্যি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। শিশুদের ভালো লেগেছে। ওদের আনন্দমাখা মুখ দেখে সব দ্বিধা কেটে গেছে। এমন আয়োজন আমরা নিয়মিত করতে চাই। এভাবেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাতিঘরের বিশেষ কর্মশালা বছর জুড়েই চলতে থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক