ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ২১
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শনিবার (২২ নভেম্বর) ইসরায়েলের একাধিক বিমান হামলায় ২১ জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একেঅন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ জানানোর প্রেক্ষাপটে গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি হতাহতের এই তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।
দুই বছরের প্রাণঘাতি যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যে গতকাল শনিবারের দিনটি ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা’ গাজার ভেতর তথাকথিত হলুদ সীমানা অতিক্রম করে ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। আর এর জবাব দিতে গাজার দক্ষিণে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই এলাকাটি গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
হামাস কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের পাঁচটি আলাদা বিমান হামলায় মোট ২১ জন শহীদ হয়েছেন যা কিনা গাজায় যুদ্ধবিরতির চরম লঙ্ঘন।
এসব বিামন হামলার মধ্যে গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে সাতজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে এবং আল-নাসর এলাকার একটি আবাসিক বহুতল ভবনে হামলায় চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় এ পর্যন্ত ৩১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা শহরের হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিত তীর ভিত্তিক ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় বিমান হামলা ও হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলকে ‘তাৎক্ষণিক চাপ’ প্রদানের আবেদন জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৬৯ হাজার ৭৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে যাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে জাতিসংঘ।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক