মেক্সিকোতে জেন-জি’র ডাকে বিক্ষোভ, সংঘর্ষে আহত ১২০
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেনবাউমের নেতৃত্বাধীন সরকারের নিরাপত্তা নীতির প্রতিবাদে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ থেকে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে ১২০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের ডাকে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। খবর এএফপির।
মাদক কেন্দ্রিক সহিংসতা ও প্রেসিডেন্ট শেনবাউমের নিরাপত্তা নীতির প্রতিবাদে ‘জেন-জি’র ব্যানারে সংগঠকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়। যদিও বিক্ষোভে সব বয়সী মানুষকে অংশ নিতে দেখা যায়।
২০২৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন শেনবাউম। শাসনের প্রথম বছর তার প্রতি সমর্থন ছিল ৭০ শতাংশ মানুষের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ‘হাই-প্রোফাইল’ খুনের ঘটনা ও তার সরকারের নিরাপত্তা নীতির কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাজকুয়েজ সংঘর্ষের বিষয়ে বলেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা জনতার অবস্থান ও প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। তবে মুখোশধারী একটি দল পরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
ভাজকুয়েজ জানান, সংঘর্ষে ১০০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এ ছাড়া ২০ জন বিক্ষোভকারীও আহত হয়েছে। পুলিশ সহিংসতা ও হামলা চালানোর অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন : ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সর্বোচ্চ উন্নতি বাংলাদেশের
বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিবাদীরা বিভিন্ন ব্যানার বহন করে ও উরুয়াপান সিটির মেয়র কার্লোস মানজোর স্মৃতির প্রতি টুপি খুলে অভিবাদন জানায়। গত ১ নভেম্বর মানজো আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। এর আগে তিনি মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘ক্রুসেড’ ঘোষণা করেছিলেন। তবে শনিবারের (১৫ নভেম্বর) এই বিক্ষোভ থেকে তার বিধবা স্ত্রী দূরে ছিলেন। সমাবেশে উপস্থিত অনেকে জাপানি মাঙ্গা ‘ওয়ান পিস’ আন্দোলনের প্রতীক জলদস্যুর পতাকা বহন করছিলেন।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট শেনবাউম এই আন্দোলনকে ‘বিদেশ থেকে পরিচালিত’ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
শনিবারের বিক্ষোভে প্রতিবাদীরা মেক্সিকো সিটির ন্যাশনাল প্যালেসের সামনে জড়ো হন। সেখানে শেনবাউম থাকেন ও অফিস করেন। সংঘর্ষের সময় জনতা ভবনটিকে রক্ষা করার জন্য স্থাপন করা বেশকিছু লোহার বেড়া ভেঙে ফেলে।
আরও পড়ুন : অবৈধ অভিবাসীদের নৌকাডুবি, ৪ বাংলাদেশি নিহত
পুলিশ এ সময় টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড ও ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে। এ সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের প্রতি চিৎকার করে বলেন, ‘তোমাদের উচিত ছিল এইভাবে কার্লোস মানজোকে রক্ষা করা।’ এ সময় শত শত বিক্ষুব্ধ লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিজেদের রক্ষায় শিল্ড ব্যবহার করে ও কেউ কেউ পাল্টা ঢিলও ছুড়ে মারে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক