গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলকে অনুমতি দিতে হবে : আইসিজে
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বুধবার (২২ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় বলেছে, ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো গাজার মানুষের জরুরি প্রয়োজন মেটানো। আদালত আরও জানিয়েছে, বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এই অঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণ কাজকে সাহায্য করতেও ইসরায়েল বাধ্য। খবর আল জাজিরার।
আইসিজে-র ১১ জন বিচারকের প্যানেল স্পষ্ট করে বলেছে, ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে সহায়তা করতে হবে। যদিও ইসরায়েল অভিযোগ করেছিল, ইউএনআরডব্লিউএ-এর কিছু কর্মী হামাসের সঙ্গে জড়িত।
আইসিজে সভাপতি ইউজি ইওয়াসাওয়া জানিয়েছেন, আদালত দেখেছে ইসরায়েল তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো স্থানীয় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে অনাহারকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত।
এপ্রিল মাসে গাজায় সাহায্য প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও এখন কিছু সাহায্য ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, তা মানবিক বিপর্যয় কমাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণের কাছাকাছিও নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সাহায্যপণ্য গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্য অনুযায়ী, এটি তাদের দৈনিক লক্ষ্যের চেয়ে অনেক কম।
এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন আইসিজের এই মতামতকে ‘লজ্জাজনক’ বলে সমালোচনা করে দাবি করেছেন, জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানগুলো ‘সন্ত্রাসীদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করছে।’
আইসিজে’র একজন প্রতিনিধি বলেছেন, ইসরায়েল এই রায় উপেক্ষা করলেও এটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, কারণ এটি এখন থেকে ইসরায়েলের ওপর ‘ঝুলে থাকবে’ এবং জাতিসংঘের সব দেশ এই পরামর্শ অনুসরণ করতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলা আইসিজে-তে বিচারাধীন রয়েছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক