রেকর্ড গড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিশ্বাস্যভাবে দাম বাড়ার পর মূল্যবান ধাতুর বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) স্বর্ণের দাম দুই শতাংশের বেশি কমেছে। খবর রয়টার্সের।
এর প্রধান কারণ হিসেবে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কারণকে উল্লেখ্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স চার হাজার ৩০০ ডলার অতিক্রম করে সর্বকালের সর্বোচ্চ চার হাজার ৩৭৮ দশমিক ৬৯ ডলার ছুঁয়েছিল স্বর্ণের দাম।
শুক্রবার স্বর্ণের বাজার মূল্যে দুই দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স চার হাজার ২১১ দশমিক ৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরের জন্য মার্কিন স্বর্ণের দাম দুই দশমিক এক শতাংশ কমিয়ে চার হাজার ২১৩ দশমিক ৩০ ডলারে বিক্রি হবে।
স্বর্ণের দাম কমার পেছনে প্রধান দুই কারণ
ট্রাম্পের নমনীয়তা :
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন চীনের ওপর ‘পূর্ণ-স্কেল’ (১০০ শতাংশ) শুল্ক আরোপ করাটা হয়তো টেকসই হবে না। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন। তাই ওং নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘১০০ শতাংশ শুল্কের প্রাথমিক ঘোষণার পর ট্রাম্পের আরও সমঝোতার সুর মূল্যবান ধাতুগুলোর বাণিজ্যের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। এই সমঝোতার আভাস আসায় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের মতো নিরাপদ সম্পদের প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমিয়েছেন।
ডলারের দাম বৃদ্ধি :
এদিকে ডলার সূচক ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার শক্তিশালী হলে অন্য দেশের মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য ডলার মূল্যের স্বর্ণ কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, ফলে সোনার চাহিদা কমে।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস এখনো ইতিবাচক
যদিও দাম কমেছে তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ এখনও উজ্জ্বল। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনা, ডলারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার ও মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার কারণে স্বর্ণ এই বছর ৬৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ২০২৬ সালে স্বর্ণের গড় দাম চার হাজার ৪৮৮ ডলার হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
এইচএসবিসি ২০২৬ সালের মধ্যে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে পাঁচ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক