রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দুষলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে চলমান যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির দায় পুতিন, জেলেনস্কি আর জো বাইডেনের কাঁধে চাপিয়েছেন মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

এর আগে, গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, নিজের চেয়ে ২০ গুণ শক্তিশালী কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো ইউক্রেনের উচিত হয়নি।

এদিকে স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনজুড়ে অভিযান আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। জেলেনস্কি বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে মস্কো।

এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে চালানো এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতেও ফের হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। টানা দুদিনের হামলায় শহরটিতে বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা।

ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ হামলায় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। তবে রাশিয়া বলেছে, হামলা চালানো হয়েছিল ইউক্রেনীয় সেনাদের টার্গেট করে।

জেলেনস্কির দাবি, চলতি মাসে আকাশ থেকে ইউক্রেনে এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বোমা ফেলেছে রুশ সেনারা। এছাড়া বিভিন্ন পাল্লার ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

পশ্চিমা সহায়তা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়লেও পুতিন বাহিনীকে পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কুরস্ক শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে জেলেনস্কির সেনারা। এতে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

এর মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দুষলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, নিজের চেয়ে ২০ গুণ শক্তিশালী কারো সঙ্গে যুদ্ধ জড়িয়ে অন্য দেশের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার আশা করা উচিত নয়।

ট্রাম্প বলেছেন, যখন আপনি যুদ্ধ শুরু করেন, তখন তো আপনাকে জানতে হবে যে আপনি যুদ্ধে জিততে পারবেন, তাই না? এমনটা হয় না যে, আপনি নিজের চেয়ে ২০ গুণ বড় কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবেন আর তারপর আশা করেন অন্যরা আপনাকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র দেবে। 

এমনকি চলমান যুদ্ধে পুতিন, জেলেনস্কি আর বাইডেনের কারণে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলেও দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে শিগগিরই যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী।