মুক্তি পেলেন ৬০০ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপের সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ)। এরই মধ্যে পরবর্তী ধাপ নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির পর এমনটি জানিয়েছে মিসর। খবর আল-জাজিরার।
মিসরের রাষ্ট্রীয় তথ্য পরিষেবা দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন। এ ছাড়া মধ্যস্থতাকারীরা গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করছেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ লাঘব এবং ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, গত বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বিনিময়ে আরও চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস।
বৃহস্পতিবারের বন্দি বিনিময়ের পর ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল কায়রোতে পাঠাচ্ছে।
এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের জানান, আলোচনার জন্য পর্যাপ্ত অভিন্ন মত রয়েছে কিনা তা জানতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল মিসরে যাচ্ছে। তারা চাইবে যুদ্ধবিরতির সময় আরও বাড়ানো হোক। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা এই কাঠামো দীর্ঘায়িত করতে প্রস্তুত, যদি এর বিনিময়ে আরও বেশি বন্দিকে মুক্ত করা যায়। যদি তা সম্ভব হয়, আমরা তা করব।’
চুক্তি অনুযায়ী গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং বন্দিবিনিময় শুরু হয়। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪১ দিনে ৩৮ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজায় এখনও আটক রয়েছেন ৫৯ জন বন্দি। তারমধ্যে অর্ধেকেরও কম জীবিত রয়েছেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক