উষ্ণতায় এল নিনোর প্রভাব, সামনে আসছে আরও কঠিন সময় : গবেষণা
জুনের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি কমতে থাকে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনের প্রথম দিকের তাপমাত্রা বৈশ্বিক রেকর্ড ভেঙেছে। একইসঙ্গে সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, সামনে আরও কঠিন সময় আসছে, কারণ বিশ্ব এল নিনোর প্রভাব কয়েক বছর ধরে থেকে যাবে।
স্প্যানিশ শব্দ ‘এল নিনো’র অর্থ হলো ‘লিটল বয়’ বা ‘ছোট ছেলে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তখন তাকে এল নিনো বলা হয়।
সিথ্রিএসের গবেষকরা জানিয়েছে, জুনের শুরুর দিকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস (দুই দশমিক সাত ফারেনহাইট) বেড়েছিল, যা শিল্পযুগের আগের থেকেও বেশি।
জলবায়ু পর্যবেক্ষক ইউনিটটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ থেকে ১১ জুন গড় তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত ৯ জুন গড় তাপমাত্রা বেড়েছিল এক দশমিক ৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত ৮ ও ৯ জুন যে গড় তাপমাত্রা ছিল, তা গত বছরের ঠিক একই দিনের তাপমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
সিথ্রিএস বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। অনেক সময় তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা অতিক্রম করে ফেলছে। তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবগুলো আমাদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
চলতি জুন মাসের শুরুর দিকের গড় তাপমাত্রা আগের যেকোনো জুনের থেকে বেশি ছিল। এমনকি, আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে চলতি মাসটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ইউনিট দ্য কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) এই তথ্য দিয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সিথ্রিএসের সহকারী পরিচালক সামান্থা বুরগ্রেস বলেন, ‘জুনের শুরুতে তীব্র উষ্ণতা অনুভব করেছে বিশ্ব, যা আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।’
জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ইউনিটটি বলছে, ‘ইআরএ৫ ডাটায় যে তথ্য রয়েছে সেটি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুনের প্রথম দিনের বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। কিছু ডাটা ১৯৫০ সালেরও আগের।’

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক