কাবুল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের বেসামরিক উড়োজাহাজে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। আফগান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
কয়েক হাজার মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হাজার হাজার মানুষের চাপে তারা বেশ হিমশিম খাচ্ছে।
গতকাল কাবুল বিমানবন্দরে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছে। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এখনও তালেবানের সঙ্গে সম্পর্কের রাস্তা খোলা রেখেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী চীন। তালেবান বার বার বলেছে, তারা চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং উন্নয়নে তারা চীনের অংশগ্রহণ চায়। আমরা তাদের ইচ্ছাকে স্বাগত জানাই।’
রুশ দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরমভ আজ মঙ্গলবার তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রুশ সরকার বলেছে, তারা তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চায়, কিন্তু তাদেরকে আফগানিস্তানের শাসক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যর্থতার ফলে সেদেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রাইসিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পরাজয় এবং প্রস্থানকে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।’
পাকিস্তান আফগান পরিস্থিতি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘আফগানরা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে।’
এই চারটি দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি। যদিও ইরান তাদের বেশ কজন কূটনীতিককে দেশে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে একটি তালেবান সরকারকে যে এই চারটি দেশ মেনে নেবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক