বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম অলিম্পিকস। যেখানে বিভিন্ন ইভেন্টের লড়াই চলে এক সঙ্গে। এক সময় ক্রিকেটেও অন্তুর্ভুক্ত ছিল এক সময়। তবে মাঝখানে আবারও বাদও পড়ে যায়। লম্বা সময় পর আবারও অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সেটি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেন্সে অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নিতে হলে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ।

দুবাইয়ে সভায় বসেছিল আইসিসি। সেই সভা শেষে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অলিম্পিকের আগামী আসরে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ছয়টি করে ক্রিকেট দল অংশ নেবে। সবমিলিয়ে মোট ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

আইসিসির সভা শেষে প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, ‘অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য বিশাল পরিবর্তন। এতে সরকারি তহবিল পাওয়ার সুযোগ বাড়বে, যা উন্নয়ন ও অবকাঠামো বিনিয়োগে বড় সহায়তা দেবে। এশিয়ান গেমস, প্যান-আমেরিকান গেমস, আফ্রিকান গেমসের মতো বহুমুখী ক্রীড়াযজ্ঞে ক্রিকেট নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত হলে নতুন অঞ্চলে খেলাটি জনপ্রিয়তা পাবে। এতে হাই-পারফরম্যান্স ও গ্রাসরুট পর্যায়ে বিনিয়োগ বাড়বে।’

জানা গেছে, অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ৬ দলের মধ্যে ৫টি আসবে পাঁচ মহাদেশীয় অঞ্চল থেকে। এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও ওশেনিয়া— এই পাঁচ মহাদেশের শীর্ষ দেশগুলো খেলবে সরাসরি। বাকি দলটি নির্ধারিত হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।

র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী পুরুষ দলের মধ্যে ভারত (এশিয়া), অস্ট্রেলিয়া (ওশেনিয়া), ইংল্যান্ড (ইউরোপ), দক্ষিণ আফ্রিকা (আফ্রিকা) খেলবে পাঁচ মহাদেশ থেকে। আর আয়োজক দেশ হিসেবে আমেরিকা অঞ্চল থেকে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র।

জানা গেছ, বাছাই পর্বের জন্য খেলতে পারে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের মধ্য থেকে সেরা দল সুযোগ পাবে মূল পর্বে খেলার। এমনটা হলে নিশ্চিতভাবেই বাছাইপর্বে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। মেলাতে হবে জটিল অঙ্কের হিসাব-নিকাশ।