শ্রেয়াসকে অন্তত দলে রাখার আকুতি জানালেন বাবা
ভারতের এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর থেকে চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে একটি নামকে ঘিরে। তিনি হচ্ছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ধারাবাহিকভাবে দেশটির ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) ভালো খেলে আসছেন। তবু তার জায়গা মিলছেনা জাতীয় দলে। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটমহল থেকে শুরু করে আলোচনা হচ্ছে সমর্থকদের মাঝেও। এবার মুখে খুলেছেন তার বাবা সন্তোষ আইয়ার। ছেলের দলে না থাকা নিয়ে তিনি চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।
শ্রেয়াসের জায়গা না পাওয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘অন্যায়’ বলে আখ্যা দেন তার বাবা সন্তোষ। দল থেকে বাদ পড়ার পর শ্রেয়াসের প্রতিক্রিয়া কী ছিল সেই বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে।
শ্রেয়াসের অধিনায়কত্বে ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০২৫ সালে পাঞ্জাব কিংসও ফাইনাল খেলে তার নেতৃত্বে। আইপিএলের সর্বশেষ আসরে ১৭৫ দশমিক ০৭ স্ট্রাইক রেটে ও ৫০ দশমিক৩৩ গড়ে করেন ৬০৪ রান, যা পাঞ্জাবের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। তার অধিনায়কত্বেই ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিল পাঞ্জাব। এরপরও জাতীয় দলে জায়গা পাননি তিনি।
দল থেকে ছেলের বাদ পড়া নিয়ে সন্তোষ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘জানি না, শ্রেয়াস আর কী করলে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাবে। সে প্রতি বছর আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করে আসছে। দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়ে এখন পাঞ্জাব কিংস, সব দলেই অধিনায়ক হিসেবে খেলেছে। সে ২০২৪ সালে কেকেআরকে শিরোপা জেতায় এবং এবছর পাঞ্জাব কিংস ফাইনালে উঠেছে তার অধীনে। আমি বলছি না ওকে ভারতের অধিনায়ক বানান, কিন্তু অন্তত দলে তো রাখা উচিত।’
বিষয়টি নিয়ে শ্রেয়াসের প্রকিক্রিয়া কী ছিল সেই বিষয়টি নিয়েও মুখ খুলেছেন তার বাবা। সন্তোষ বলেন, ‘ও যদি ভারতীয় দল থেকে বাদও পড়ে, মুখে কোনও বিরক্তি দেখায় না। সে শুধু বলে, ‘এটা আমার ভাগ্য! এখন কিছু করার নেই।’ ও সবসময় ঠান্ডা ও শান্ত থাকে। কাউকে দোষ দেয় না। তবে ভিতরে ভিতরে স্বাভাবিকভাবেই ও নিশ্চয়ই হতাশ হয়।’
৩১ বছর বয়সী এই মুম্বাইয়ের এই ব্যাটার ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ৩০ দশমিক ৬৬ গড় ও ১৩৬ দশমিক ১২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১১০৪ রান। ভারতের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফের দাবি করেছেন, দারুণ ফর্মে থাকার পরও শ্রেয়াসকে দলে না রেখে ভারতের নির্বাচক কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্ট তার প্রতি অবিচার করেছে।
গত দেড় বছরে ভারতের সব ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে আসছেন শ্রেয়াস। গত বছর কলকাতাকে আইপিএল, মুম্বাইকে রঞ্জি ট্রফি, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি ও ইরানি কাপ জেতাতে বড় অবদান রাখেন এই ব্যাটার।
শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটই নয় । জাতীয় দলেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করছেন সাদা বলের ক্রিকেটে। এ বছর ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।

স্পোর্টস ডেস্ক