ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে প্রকৌশল খাত
সদ্যসমাপ্ত সপ্তাহে (৯-১৩ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরের অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন। এই দুই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে ২১টি খাতে রয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রকৌশল এবং ওষুধ রসায়ন—এই দুই খাতের ৭৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৪৮৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার। বাকি ১৯ খাতের ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ২৮৫ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শীর্ষ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি সাত লাখ ২০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাতের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এই খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। লেনদেনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
লেনদেনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৩৩ শতাংশ। লেনদেনে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। এই খাতের ১৫টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ১৪ শতাংশ।
এছাড়া মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৯৯ শতাংশ হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে, সেবা ও আবাসন খাতে পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে পাঁচ দশমিক ৩৬ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে চার দশমিক ৯৭ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে চার দশমিক ৬৬ শতাংশ, আইটি খাতে দুই দশমিক ৫২ শতাংশ, টেলিকম খাতে এক দশমিক ৯২ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে এক দশমিক ৬৭ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে এক দশমিক ৫৫ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক দশমিক ৪৯ শতাংশ, পাট খাতে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ, সিরামিক খাতে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ, চামড়া খাতে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক