ব্যস্ত হবিগঞ্জের শতাধিক প্রতিমাশিল্পী, মণ্ডপ বেশি হওয়ায় এবার আয় বেশি
শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের প্রতিমাশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাখাই উপজেলার মুড়াকড়ি পশ্চিমপাড়ায় ১০টি বাড়িতে শতাধিক প্রতিমাশিল্পী রাতদিন কাজ করছেন। মাটির কাজ শেষ করে এখন রং-তুলির কাজে ব্যস্ত তাঁরা।
মণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি, চলছে নিখুঁতভাবে প্রতিমা তৈরির কাজ। মুড়াকড়ির পালপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ কাদামাটি মাখছেন, কেউ প্রতিমার গায়ে হালকা মাটির প্রলেপ দিচ্ছেন। সবশেষে চলছে তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করার প্রয়াস।
লাখাইয়ের মুড়াকড়ির প্রতিমাশিল্পী প্রণীত পাল জানান, আড়াই মাস ধরে তারা প্রতিমা নির্মাণের কাজ করে আসছেন। বর্তমানে একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছেন।
মুড়াকড়ির শিল্পীদের তৈরি প্রতিমা শুধু নিজ এলাকায়ই নয়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকেও ফরমাশ আসে, তারা সরবরাহ করেন। তারা জানান, এ বছর পূজামণ্ডপ বেশি হওয়ায় প্রতিমার চাহিদা বেশি। এতে তাদের আয়ও হচ্ছে ভালো। আবার অনেকে বলছেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়লেও সে অনুযায়ী মজুরি বা প্রতিমার মূল্য বাড়েনি।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার ছয়টি ইউনয়নে এবার ৬৮টি মণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব হবে। এ উৎসব যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

হারুনুর রশিদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ