আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীরা একমত
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে একমত হয়েছেন এই দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর গেটের জিরো পয়েন্টে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্তসহ ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায় এই ঐক্যমতে পৌঁছেন তারা।
আজ শনিবার দুপুরে বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, আজ শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টার আগ পর্যন্ত দুই দেশের বন্দরে পণ্য খালাসের পর অপেক্ষমাণ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশ ও ভারতে ফিরে যাবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে যতটি পণ্যবাহী ট্রাক উভয় দেশে প্রবেশ করতে পারবে। এতে কোনো নিদিষ্ট সংখ্যা নির্ধারিত হবে না। বাংলাদেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করে ভারতে ফেরত পাঠাতে হবে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, মসল্লাসহ পচনশীল পণ্য বাংলাদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠাতে হবে। এছাড়া ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপারদের দ্রুত করোনা টিকা দেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ এবং ভারতের ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলা মণ্ডল।
উল্লেখ্য, করোনা টিকা গ্রহণ ছাড়া ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপারদের পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এমন দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ব্যবসায়ীরা চারটি শর্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিলে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে বৈঠক আহ্বান করা হলে একমত হন এই দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা।

জাহিদুল ইসলাম, হিলি