হাদি হত্যাচেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় করা মামলায় হত্যার ধারা যুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ দণ্ডবিধি ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ হত্যার ধারা সংযোজনের আদেশ দেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১২০(বি)/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
হত্যার ধারা সংযোজনের আবেদনে বলা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ (৩৭) ও অজ্ঞাতনামা সহযোগী আসামিরা গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করা, জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি তৈরি করা, সর্বোপরি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ কে বাধা প্রদান এবং আগ্রহী প্রার্থীদের মনোবলে আঘাত হানার মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে মতিঝিল মসজিদ (ওয়াপদা মসজিদ) থেকে জুমার নামাজ শেষে নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে গত ১২ ডিসেম্বর অনুমানিক দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডের ডিআর টাওয়ারের সামনে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের অভিমুখী পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে তার (শরিফ ওসমান হাদি) পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি শরীফ ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
আবেদনে আরও বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাদির শারীরিক অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়। মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলায় দায়েরকৃত ধারার সঙ্গে ৩০২ পেনাল কোড ধারা সংযোজনের আদেশদান প্রয়োজন।

আদালত প্রতিবেদক