কাঁটাবনে আজাদ ফিশারিজের দ্বিতীয় আউটলেট চালু
রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটে উদ্বোধন হয়ে গেল আজাদ রিফাত ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আজাদ ফিশারিজের দ্বিতীয় আউটলেট। গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ফিতা ও কেক কেটে এর উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্যোক্তা তাজুল ইসলাম রাজীব।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা তাজুল ইসলাম রাজীব বলেন, আজাদ ফিশারিজ দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে হোলসেল ও অনলাইন মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ রঙিন মাছ সরবরাহ করে আসছে। ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়েই রাজধানীতে নতুন এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও শোরুম উদ্বোধনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
রঙিন মাছের স্বচ্ছ কাঁচের ভেতরে নীরব সাঁতার যেন প্রশান্তির এক জীবন্ত জগৎ। লাল, নীল, হলুদ ও সোনালি রঙে সাজানো অ্যাকোয়ারিয়াম ঘরের কোণ, অফিসের টেবিল কিংবা অপেক্ষাকক্ষে এনে দেয় ভিন্নমাত্রার সৌন্দর্য ও মানসিক প্রশান্তি। মাছের ছন্দময় চলাচল চোখের সামনে তৈরি করে এক শান্ত পরিবেশ, যেখানে নেই কোনো তাড়া- আছে শুধুই প্রশান্তি।
আজাদ ফিশারিজের দ্বিতীয় এই আউটলেটটি কাঁটাবন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এম জুবায়ের সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকিন জুবায়ের, আজাদ রিফাত ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ফখরুল ইসলাম রাহাদ, অন্যতম পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম রিফাতসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শুভানুধ্যায়ীরা।
উদ্বোধনী দিনেই শোরুমে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ক্রেতারা জানান, অ্যাকোয়ারিয়াম শুধু সৌন্দর্যই নয়, বরং যত্ন, ভারসাম্য ও দায়িত্ববোধ শেখায়। পরিষ্কার পানি, সঠিক আলো ও নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে এই ছোট্ট জগৎ মানুষের মনকে করে তোলে আরও বড় ও শান্ত।
আজাদ ফিশারিজের প্রধান শাখা নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত, যা ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। নতুন এই শোরুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক্সক্লুসিভ রঙিন মাছের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে মাছের খাবার, প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ এবং বাসা, অফিস বা গার্ডেনিংয়ের জন্য নান্দনিকভাবে অ্যাকোয়ারিয়াম সেটআপ ও ডেকোরেশনের সুবিধা।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার সাব্বির হাসান জানান, বাংলাদেশ সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রজাতির মাছই এখানে আমদানি ও বিক্রি করা হয়। শোরুমে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন মাছ রয়েছে, যা বৈচিত্র্যের দিক থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ সংগ্রহ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মোবাইল ও গ্যাজেট আসক্তি দিন দিন বাড়ছে। এর বিকল্প হিসেবে প্রকৃতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া জরুরি। রঙিন মাছ পালন বা অ্যাকোয়ারিয়াম শিশুদের মধ্যে ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও মানসিক প্রশান্তি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে বলে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।

তারেক স্বপন, নারায়ণগঞ্জ