পুরনো কূপে মিলল গ্যাসের বড় মজুদ, ৩ দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডের পুরোনো ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন করে গ্যাসের বড় মজুদ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, এই কূপ থেকে দৈনিক প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী তিনদিনের মধ্যে এই নতুন গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
২০২৩ সাল থেকে দেশের পুরোনো গ্যাস কূপগুলোতে নতুন করে ওয়ার্কওভার শুরু হয়। সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন ১৪টি কূপের ওয়ার্কওভার চলছে। কৈলাশটিলা-১ সহ ইতোমধ্যে সাতটি কূপের ওয়ার্কওভার সম্পন্ন হয়েছে এবং সব কটিতেই গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : জনগণ আতঙ্কিত না, এভরিথিং ইজ ভেরি নরমাল : ডিএমপি কমিশনার
কৈলাশটিলা-১ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
বাপেক্স এই ১ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শুরু করে। ওয়ার্কওভারের সময় প্রায় ২২ হাজার ফুট গভীরে নতুন গ্যাসের সন্ধান মেলে। এই কূপটিতে প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুনঃখনন কাজে বাপেক্সের ব্যয় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা।
কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে ৯টি কূপের মধ্যে ১৯৬১ সালে আবিষ্কৃত ১ নম্বর কূপে চলতি বছরের আগস্ট মাসে পঞ্চম দফায় পুনঃখনন শুরু হয়। এর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ পুনঃখননের পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত কূপটি সচল ছিল।
আরও পড়ুন : সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস আছে বুঝবেন যেভাবে
এ নিয়ে, সিলেটের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮নং কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

স্বজল ছত্রী, সিলেট