ট্রলারসহ বাংলাদেশি ২৮ মাঝিমাল্লাকে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড
বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ২৮ জেলে-মাঝিসহ একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ভারতীয় কোস্ট গার্ড ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বঙ্গোপসাগরে ঘন কুয়াশায় ফিশিং ট্রলারটি ভারতের জলসীমা প্রবেশ করলে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নজর আলী মাদবরপাড়ার এফ বি আদিব-২ ফিশিং ট্রলারের মালিক নজরুল ইসলাম।
ভারতের আটক মাঝিমাল্লারা হলেন— দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, নুরুল বশর, মোহাম্মদ শাহিন, তারেক মুহাম্মদ নওশাদ, আতিকুর রহমান, শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ রাকিব, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, নুরুল ইসলাম, জোবাইদুল হক, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের জকির আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ তুহিন আলম, মোহাম্মদ মোজাহেদ, শাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান, লেমশীখালী আবুল বশর, মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিন, এনামুল হক, মোহাম্মদ শরীফ, রবিউল হাছান, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ওমর ফারুক, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, আকতার হোছাইন, নজরুল ইসলাম।
কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও ফিশিং বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদীন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে কুতুবদিয়া উপজেলার মলমচর এলাকা থেকে ট্রলারটি যাত্রা করে। এরপর গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ২৮ মাঝিমাল্লাসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটকের বিষয়টি জানতে পারে তাদের পরিবার সদস্যরা। আটক জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আটককৃত মাঝিমাল্লাদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আটক জেলেরা বর্তমানে ভারতের নারায়ণপুর কান্দিব থানা হেফাজতে রয়েছে।
ট্রলারটির মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ২৮ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। এ বিষয়ে লিখিতভাবে কুতুবদিয়া থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আবুল কাশেম, কক্সবাজার (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)